কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি?কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক কে? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা ও অসুবিধা ব্যাখ্যা।


 কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা:

কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা,যেখানে কম্পিউটার দ্বারা মানুষের চিন্তা শক্তি ও বুদ্ধিমত্তাকে অনুকরণ করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে।কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি দ্বারা মানুষের চিন্তা শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা কে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হলো ''কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা''।মানুষের মত করে কম্পিউটার যাতে ভাবতে পারে তারজন্য মিমিকস কগনেটিক এককে আনা হয়।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা (এআই) হল এমন এক ''বুদ্ধিমান এজেন্ট'' তার সাফল্যকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যন্ত্র ও পরিবেশকে অনুধাবন তার কাজ চালিয়ে যেতে থাকে।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দৈন্দিন জীবনে এতই প্রভাব ফেলেছে যে ''শিক্ষা গ্রহণ'', ''সমস্যা সমাধান'', এমনকি 'Anchor' কাজেও ব্যাবহৃত হচ্ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি?

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জনক কে?


জন ম্যাকার্থি। একজন আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী। জন্ম: ৪ সেপ্টেম্বর, ১৯২৭ 
মৃত্যু: ২৪ অক্টোবর, ২০১১।
তিনি প্রোগ্রামিং ভাষা লিপ্সের ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা(এআই)এর জনক।তিনি ১৯৫৫ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আবিষ্কার করেন। 


AI এর মাধ্যমে  যেমন সুযোগ সুবিধা  আছে তেমনি ভাবে অসুবিধা ও আছে। তা নিম্নে তুলে ধরা হল :--

সুবিধা:

১-চিকিৎসা শাস্ত্র: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বর্তমান বিশ্বে মানুষের জীবনে এতটাই প্রভাব ফেলেছে যে তার একটি যুগোপযোগী উদাহরণ হল চিকিৎসা শাস্ত্রে উন্নতি। কেননা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা বর্তমানে বড় ধরণের অপারেশন, রেডিও সার্জারী,এক্সরে ইত্যাদি ইত্যাদি চিকিৎসার কাজ সফলতার সাথে করা যাচ্ছে।
২-খেলা প্রশিক্ষণ: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নতির ফলে আজকাল খেলার প্রশিক্ষণ দেওয়া সহ  বিভিন্ন  খেলার ছবিও তুলা যাচ্ছে।যেমন: ফুটবল, ক্রিকেট, দাবা,ভলিবল ইত্যাদির ছবি তুলা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া যাচ্ছে। 
৩-জিপিএস প্রযুক্তির সুবিধা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা  সুবিধার জন্য গাড়ি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিরাপত্তার সহিত একস্থান থেকে আরেক স্থানে যাতায়াত করছে।এবং ''এআই'' দ্বারা মোবাইল ফোনে জিপিএস সুবিধা প্রদানের ফলে জায়গা না চিনে সাইনবোর্ড না দেখেও এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় অনায়াসে যাওয়া যায়।
৪-খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নতির ফলে মাটির ভিতরে সমুদ্রের গভীর তলদেশ থেকে  খনিজ সম্পদ যেমন:পেট্রোল জ্বালানি ইত্যাদি  খোঁজ করা সম্ভব যা মানুষের দ্বারা কখনোই সম্ভব নয়।কেননা খনির কাজ অসম্ভব ধরনের কঠিন হয়ে থাকে।
৫-সিদ্ধান্ত গ্রহণ : এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ব্যাবহারকারীরা প্রশ্নের জবাবে এআই তার বিশেষ প্রযুক্তি  ব্যাবহার করে দ্রুত তথ্য দিতে পারে। ফলে ব্যাবহারকারীর অনেক সময় বেঁচে যায় ও সমস্যা সমাধান করতে পারে।

অসুবিধা:

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যাবহারে যেমন সুবিধা আছে তেমনি তার  অসুবিধা বা ক্ষতির দিকও কম নয়।তা নিম্নে আলোচনা করা হল:
১-সৃজনশীলতা হ্রাস: মানুষের  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বেশি ব্যাবহার করা অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেননা এটি বেশি ব্যাবহারের ফলে মানুষের চিন্তা-চেতনা, মনে-মননে, ভাবনা সবকিছু যান্ত্রিক নির্ভর হয়ে যাবে।অর্থাৎ চিন্তা করার শক্তি ক্রমে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
২-বেকারত্বের হার বৃদ্ধি: এআই বেশি ব্যাবহারের ফলে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেতে পারে। দিন দিন মানুষ এআই এর দিকে ঝুঁকে পড়ছে।কাজেই বড় বড় ফ্যাক্টরি শিল্প-কলখারনায়, ব্যাংকে ইত্যাদি জায়গায় এআই ব্যবহার করা হয় মানুষ বেকারত্বের ঝুঁকিতে পড়বে।
৩-অস্ত্র নির্মাণ :ধারণা করা হয় যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাতে যদি অনুভূতি প্রবেশ করানো যায় তাহলে এআই নিজেই নিজের কাজ সম্পাদন করতে পারবে।যদি এই হয় অবস্থা, তাহলে ভয়ংকর অস্ত্র উৎপাদন করবে এআই তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
৪-খরচ: এআই যন্ত্রপাতিতে ক্রমশ খরচ বাড়তে পারে।ফলে,হসপিটাল, ব্যাংক,এটিএম বুথ,ফ্যাক্টরিতে স্থাপনের জন্য খরচ বাড়তে পারে। আবার সফটওয়্যার বারবার পরিবর্তন করার ফলে এর খরচ পড়তে পারে।
৫-ভুল-সঠিকের পার্থক্য:এআই প্রোগ্রামনুযায়ী কাজ করে থাকে।ফলে ভুল-সঠিকের পার্থক্য বুঝতে পারে না।

এইজন্য বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যতের কল্যানে এআইকে ভালো ও গুরত্বপূর্ণ মানব কল্যাণে  কাজে লাগানো উচিত।  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন